5 | GEN 1:5 | আর ঈশ্বর আলোর নাম “দিন” ও অন্ধকারের নাম “রাত” রাখলেন। সন্ধ্যা ও সকাল হলে প্রথম দিন হল। |
6 | GEN 1:6 | পরে ঈশ্বর বললেন, “জলের মধ্যে আকাশ (বায়ুমণ্ডল) হোক ও জলকে দুই ভাগে আলাদা করুক।” |
9 | GEN 1:9 | পরে ঈশ্বর বললেন, “আকাশমণ্ডলের নীচে অবস্থিত সমস্ত জল এক জায়গায় জমা হোক ও স্থল প্রকাশিত হোক,” তাতে সেরকম হল। |
11 | GEN 1:11 | পরে ঈশ্বর বললেন, “ভূমি ঘাস, বীজ উত্পন্নকারী ওষধি ও সবীজ গাছপালা তাদের জাতি অনুযায়ী ফলের উৎপাদক ফলের গাছ, ভূমির উপরে উৎপন্ন করুক,” তাতে সেরকম হল। |
14 | GEN 1:14 | পরে ঈশ্বর বললেন, “রাত থেকে দিন কে আলাদা করার জন্য আকাশমণ্ডলের বিতানে নক্ষত্র হোক এবং তারা চিহ্নের মতো হোক, ঋতুর জন্য, রাত এবং সময়ের ও বছরের জন্য হোক; |
20 | GEN 1:20 | পরে ঈশ্বর বললেন, “জল নানাজাতীয় জলজ প্রাণীতে প্রাণীময় হোক এবং ভূমির উপরে আকাশে পাখিরা উড়ুক।” |
22 | GEN 1:22 | আর ঈশ্বর সে সকলকে আশীর্বাদ করে বললেন, “তোমরা ফলবান ও বহুবংশ হও, সমুদ্রের জল পরিপূর্ণ কর এবং পৃথিবীতে পাখিদের বৃদ্ধি হোক।” |
24 | GEN 1:24 | পরে ঈশ্বর বললেন, “ভূমি নানাজাতীয় প্রাণীতে, অর্থাৎ তাদের জাতি অনুযায়ী পশুপাল, সরীসৃপ ও বন্য পশু সৃষ্টি করুক; তাতে সেরকম হল।” |
26 | GEN 1:26 | পরে ঈশ্বর বললেন, “আমরা আমাদের প্রতিমূর্ত্তিতে, আমাদের সঙ্গে মিল রেখে মানুষ সৃষ্টি করি; আর তারা সমুদ্রের মাছদের ওপরে, আকাশের পাখিদের ওপরে, পশুদের ওপরে, সমস্ত পৃথিবীর ওপরে ও ভূমিতে চলাচলকারী যাবতীয় সরীসৃপের ওপরে কর্তৃত্ব করুক।” |
28 | GEN 1:28 | পরে ঈশ্বর তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন; ঈশ্বর বললেন, “তোমরা ফলবান ও বহুবংশ হও এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও কর্তৃত্ব কর, আর সমুদ্রের মাছদের ওপরে, আকাশের পাখিদের ওপরে এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর ওপরে কর্তৃত্ব কর।” |
29 | GEN 1:29 | ঈশ্বর আরও বললেন, “দেখ, আমি সমস্ত পৃথিবীতে অবস্থিত যাবতীয় বীজৎপাদক ওষধি ও যাবতীয় সবীজ ফলদায়ী বৃক্ষ তোমাদেরকে দিলাম, তা তোমাদের খাদ্য হবে।” |
47 | GEN 2:16 | আর সদাপ্রভু ঈশ্বর আদমকে এই আদেশ দিলেন, “তুমি এই বাগানের সব গাছের ফল নিজের ইচ্ছায় খাও; |
49 | GEN 2:18 | আর সদাপ্রভু ঈশ্বর বললেন, “মানুষের একা থাকা ভাল নয়, আমি তার জন্য তার মতো সহকারিণী তৈরী করি।” |
54 | GEN 2:23 | তখন আদম বললেন, “এবার [হয়েছে]; ইনি আমার অস্থির অস্থি ও মাংসের মাংস; এর নাম নারী হবে, কারণ ইনি মানুষ থেকে গৃহীত হয়েছেন।” |
57 | GEN 3:1 | সদাপ্রভু ঈশ্বরের সৃষ্টি ভূচর প্রাণীদের মধ্যে সাপ সবচেয়ে ধূর্ত ছিল। সে ঐ নারীকে বলল, “ঈশ্বর কি বাস্তবিক বলেছেন, তোমরা এই বাগানের কোনো গাছের ফল খেও না?” |
58 | GEN 3:2 | নারী সাপকে বললেন, “আমরা এই বাগানের সব গাছের ফল খেতে পারি; |
60 | GEN 3:4 | তখন সাপ নারীকে বলল, “কোনোভাবেই মরবে না; |
65 | GEN 3:9 | তখন সদাপ্রভু ঈশ্বর আদমকে ডেকে বললেন, “তুমি কোথায়?” |
66 | GEN 3:10 | তিনি বললেন, “আমি বাগানে তোমার কথা শুনে ভয় পেলাম, কারণ আমি উলঙ্গ, তাই নিজেকে লুকিয়েছি।” |
67 | GEN 3:11 | তিনি বললেন, “তুমি যে উলঙ্গ, এটা তোমাকে কে বলল?” যে গাছের ফল খেতে তোমাকে বারণ করেছিলাম, তুমি কি তার ফল খেয়েছ? |
68 | GEN 3:12 | তাতে আদম বললেন, “তুমি আমার সঙ্গিনী করে যে স্ত্রীকে দিয়েছ, সে আমাকে ঐ গাছের ফল দিয়েছিল, তাই খেয়েছি।” |
69 | GEN 3:13 | তখন সদাপ্রভু ঈশ্বর নারীকে বললেন, “তুমি এ কি করলে?” নারী বললেন, “সাপ আমাকে ভুলিয়েছিল, তাই খেয়েছি।” |
70 | GEN 3:14 | পরে সদাপ্রভু ঈশ্বর সাপকে বললেন, “তুমি এই কাজ করেছ, এই জন্য পশুপাল ও বন্য পশুদের মধ্যে তুমি সবচেয়ে বেশি শাপগ্রস্ত; তুমি বুকে হাঁটবে এবং যাবজ্জীবন ধূলো খাবে। |
72 | GEN 3:16 | পরে তিনি নারীকে বললেন, “আমি তোমার গর্ভ বেদনা খুবই বাড়িয়ে দেব, তুমি কষ্টে সন্তান প্রসব করবে এবং স্বামীর প্রতি তোমার বাসনা থাকবে ও সে তোমার উপরে কর্তৃত্ব করবে।” |
73 | GEN 3:17 | আর তিনি আদমকে বললেন, “যে বৃক্ষের ফলের বিষয়ে আমি তোমাকে বলেছিলাম, তুমি তা খেওনা, তুমি তোমার স্ত্রীর কথা শুনে তার ফল খেয়েছ, এই জন্য তোমার জন্য ভূমি অভিশপ্ত হল; তুমি সারাজীবন কষ্টে তা ভোগ করবে; |
78 | GEN 3:22 | আর সদাপ্রভু ঈশ্বর বললেন, “দেখ, মানুষ সদসদ-জ্ঞান প্রাপ্ত হবার বিষয়ে আমাদের এক জনের মত হল, এখন যদি সে হাত বাড়িয়ে জীবনবৃক্ষের ফলও পেড়ে খায় ও অনন্তজীবী হয়।” |
81 | GEN 4:1 | পরে আদম নিজের স্ত্রী হবার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলে তিনি গর্ভবতী হয়ে কয়িনকে প্রসব করে বললেন, “সদাপ্রভুর সাহায্যতে আমি একটা মানুষকে জন্ম দিতে পেরেছি।” |
86 | GEN 4:6 | তাতে সদাপ্রভু কয়িনকে বললেন, “তুমি কেন রাগ করেছ? তোমার মুখ কেন বিষণ্ণ হয়েছে? |
89 | GEN 4:9 | পরে সদাপ্রভু কয়িনকে বললেন, তোমার ভাই হেবল কোথায়? সে উত্তর করল, “আমি জানি না, আমি কি আমার ভাইয়ের রক্ষক?” |
90 | GEN 4:10 | তিনি বললেন, “তুমি কি করেছ? তোমার ভাইয়ের রক্ত ভূমি থেকে আমার কাছে প্রতিফলের জন্য কাঁদছে। |
93 | GEN 4:13 | তাতে কয়িন সদাপ্রভুকে বলল, “আমার অপরাধের ভার অসহ্য। |
95 | GEN 4:15 | তাতে সদাপ্রভু তাকে বললেন, “এই জন্য কয়িনকে যে মারবে, সে সাত গুন প্রতিফল পাবে।” আর সদাপ্রভু কয়িনের জন্য এক চিহ্ন রাখলেন, যদি কেউ তাকে পেলে আক্রমণ করে। |
103 | GEN 4:23 | আর লেমক নিজের দুই স্ত্রীকে বলল, “আদা, সিল্লা, তোমরা আমার কথা শোন, লেমকের স্ত্রীরা আমার কথা শোন; কারণ আমি আঘাতের পরিশোধে পুরুষকে, প্রহারের পরিশোধে যুবাকে মেরে ফেলেছি। |
135 | GEN 5:29 | তিনি নোহের নাম ধরে ডাকলেন, বললেন, “সদাপ্রভুর মাধ্যমে অভিশপ্ত ভূমি থেকে আমাদের যে শ্রম ও হাতের কষ্ট হয়, তার বিষয়ে এ আমাদেরকে সান্ত্বনা করবে।” |
141 | GEN 6:3 | তাতে সদাপ্রভু বললেন, “আমার আত্মা মানুষদের মধ্যে সবদিন থাকবে না, কারণ তারা মাংসমাত্র; কিন্তু তাদের দিন একশো কুড়ি বছর হবে।” |
145 | GEN 6:7 | আর সদাপ্রভু বললেন, “আমি যে মানুষকে সৃষ্টি করেছি, তাকে পৃথিবী থেকে উচ্ছিন্ন করব; মানুষের সঙ্গে পশু, সরীসৃপ জীব ও আকাশের পাখিদেরকেও উচ্ছিন্ন করব; কারণ তাদের সৃষ্টির জন্য আমার দুঃখ হচ্ছে।” |
151 | GEN 6:13 | তখন ঈশ্বর নোহকে বললেন, “আমার চোখের সামনে সমস্ত প্রাণীর অন্তিমকাল উপস্থিত, কারণ তাদের দিয়ে পৃথিবী অত্যাচারে পরিপূর্ণ হয়েছে; আর দেখ, আমি পৃথিবীর সঙ্গে তাদেরকে বিনষ্ট করব। |
161 | GEN 7:1 | আর সদাপ্রভু নোহকে বললেন, “তুমি সপরিবারে জাহাজে প্রবেশ কর, কারণ এই কালের লোকদের মধ্যে আমার সামনে তোমাকেই ধার্মিক দেখেছি। |
205 | GEN 8:21 | তাতে সদাপ্রভু তার সুগন্ধ গ্রহণ করলেন, আর সদাপ্রভু মনে মনে বললেন, “আমি মানুষের জন্য মাটিকে আর অভিশাপ দেব না, কারণ বাল্যকাল পর্যন্ত মানুষের মনের কল্পনা দুষ্ট; যেমন করলাম, তেমন আর কখনও সকল প্রাণীকে ধ্বংস করব না। |
207 | GEN 9:1 | পরে ঈশ্বর নোহকে ও তাঁর ছেলেদেরকে এই আশীর্বাদ করলেন ও বললেন, “তোমরা ফলবান ও বহুবংশ হও, পৃথিবী ভরিয়ে তোলো। |
215 | GEN 9:9 | “দেখ, তোমাদের সঙ্গে, তোমাদের আগামী বংশের সঙ্গে ও তোমাদের সঙ্গী যাবতীয় প্রাণীর সঙ্গে, |
218 | GEN 9:12 | ঈশ্বর আরও বললেন, “আমি তোমাদের সঙ্গে ও তোমাদের সঙ্গী যাবতীয় প্রাণীর সঙ্গে চিরস্থায়ী পুরুষ পরম্পরার জন্য যে নিয়ম স্থির করলাম, তাঁর চিহ্ন এই।” |
223 | GEN 9:17 | ঈশ্বর নোহকে বললেন, “এটি একটি নিয়মের চিহ্ন যা আমার এবং পৃথিবীর সব প্রাণীর সঙ্গে স্থাপিত হবে।” |
231 | GEN 9:25 | আর তিনি বললেন, “কনান অভিশপ্ত হোক, সে নিজের ভাইদের দাসানুদাস হবে।” |
232 | GEN 9:26 | তিনি আরও বললেন, “শেমের ঈশ্বর সদাপ্রভু ধন্য; কনান তার দাস হোক। |
270 | GEN 11:3 | আর একে অপরকে বলল, “এস, আমরা ইট তৈরী করে আগুনে পোড়াই,” তাতে তাদের পাথরের পরিবর্তে ইট ও চূনের পরিবর্তে আলকাতরা ছিল। |
271 | GEN 11:4 | পরে তারা বলল, “এস, আমরা নিজেদের জন্য এক শহর ও আকাশকে নাগাল পেতে পারে এমন এক উঁচু বাড়ি (মিনার) তৈরী করে নিজেদের নাম বিখ্যাত করি, যদি সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ি।” |
273 | GEN 11:6 | আর সদাপ্রভু বললেন, “দেখ, তারা সবাই এক জাতি ও এক ভাষাবাদী; এখন এই কাজে যুক্ত হল; এর পরে যা কিছু করতে ইচ্ছা করবে, তা থেকে তারা থেমে যাবে না। |
300 | GEN 12:1 | সদাপ্রভু অব্রামকে বললেন, “তুমি নিজের দেশ, আত্মীয় ও বাবার বাড়ি ছেড়ে দিয়ে, আমি যে দেশ তোমাকে দেখাই, সেই দেশে চল। |
306 | GEN 12:7 | পরে সদাপ্রভু অব্রামকে দেখা দিয়ে বললেন, “আমি তোমার বংশকে এই দেশ দেব,” তখন সেই জায়গায় অব্রাম সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে এক যজ্ঞবেদি করলেন, যিনি তাঁকে দর্শন দিয়েছিলেন। |
310 | GEN 12:11 | আর অব্রাম যখন মিশরে প্রবেশ করতে উদ্যত হন, তখন নিজের স্ত্রী সারীকে বললেন, “দেখ, আমি জানি, তুমি দেখতে সুন্দরী; |
317 | GEN 12:18 | তাতে ফরৌণ অব্রামকে ডেকে বললেন, “আপনি আমার সঙ্গে এ কি ব্যবহার করলেন? উনি আপনার স্ত্রী, এ কথা আমাকে কেন বলেননি? |
327 | GEN 13:8 | তাতে অব্রাম লোটকে বললেন, “অনুরোধ করি, তোমার ও আমার মধ্যে এবং তোমার পশুপালকদের ও আমার পশুপালকদের মধ্যে ঝগড়া না হোক; কারণ আমরা পরস্পর জ্ঞাতি। |
333 | GEN 13:14 | অব্রাম থেকে লোট আলাদা হলে পর সদাপ্রভু অব্রামকে বললেন, “চোখ তুলে এই যে জায়গায় তুমি আছ, এই জায়গা থেকে উত্তর দক্ষিণে ও পূর্ব পশ্চিমে দেখো; |
356 | GEN 14:19 | তিনি অব্রামকে আশীর্বাদ করলেন, বললেন, “অব্রাম স্বর্গমর্তের সৃষ্টিকর্ত্তা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আশীর্বাদযুক্ত হোন, |
358 | GEN 14:21 | আর সদোমের রাজা অব্রামকে বললেন, “সব লোকজনকে আমাকে দিন, সম্পত্তি নিজের জন্য নিন।” |
359 | GEN 14:22 | তখন অব্রাম সদোমের রাজাকে উত্তর করলেন, “আমি স্বর্গমর্তের অধিকারী সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হাত উঠিয়ে বলছি, |
362 | GEN 15:1 | ঐ ঘটনার পরে দর্শনে সদাপ্রভুর বাক্য অব্রামের কাছে উপস্থিত হল, তিনি বললেন, “অব্রাম, ভয় কর না, আমিই তোমার ঢাল ও তোমার মহাপুরস্কার।” |
363 | GEN 15:2 | অব্রাম বললেন, “হে প্রভু সদাপ্রভু, তুমি আমাকে কি দেবে? আমি তো নিঃসন্তান হয়ে মারা যাচ্ছি এবং এই দম্মেশকীয় ইলীয়েষর আমার বাড়ির উত্তরাধিকারী।” |
364 | GEN 15:3 | আর অব্রাম বললেন, “দেখ, তুমি আমাকে সন্তান দিলে না এবং আমার গৃহের এক জন আমার উত্তরাধিকারী হবে। |
366 | GEN 15:5 | পরে তিনি তাঁকে বাইরে এনে বললেন, “তুমি আকাশের দিকে দেখে যদি তারা গুণতে পার, তবে গুনে বল; তিনি তাঁকে আরও বললেন এইরকম তোমার বংশ হবে।” |
368 | GEN 15:7 | আর তাঁকে বললেন, “যিনি তোমার অধিকারের জন্য এই দেশ দেবেন বলে কলদীয় দেশের ঊর থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন, সেই সদাপ্রভু আমি।” |
369 | GEN 15:8 | তখন তিনি বললেন, “হে প্রভু সদাপ্রভু, আমি যে এর অধিকারী হব, তা কিভাবে জানব?” |
370 | GEN 15:9 | তিনি তাঁকে বললেন, “তুমি তিন বছরের এক গরু, তিন বছরের এক ছাগল, তিন বছরের একটি ভেড়া এবং এক ঘুঘু ও এক পায়রার বাচ্চা আমার কাছে আন।” |
379 | GEN 15:18 | সেই দিন সদাপ্রভু অব্রামের সঙ্গে নিয়ম স্থির করে বললেন, “আমি মিশরের নদী থেকে মহানদী, ফরাৎ নদী পর্যন্ত এই দেশ তোমার বংশকে দিলাম; |
384 | GEN 16:2 | তাতে সারী অব্রামকে বললেন, “দেখ, সদাপ্রভু আমাকে বন্ধ্যা করেছেন; অনুরোধ করি, তুমি আমার দাসীর কাছে যাও; কি জানি, এর দ্বারা আমি সন্তান লাভ করতে পারব।” তখন অব্রাম সারীর বাক্যে রাজি হলেন। |
387 | GEN 16:5 | তাতে সারী অব্রামকে বললেন, “আমার উপরে করা এই অন্যায় তোমার উপরেই ফলুক; আমিই নিজের দাসীকে তোমার হাতে দিয়েছিলাম, সে নিজেকে গর্ভবতী দেখে আমাকে তুচ্ছজ্ঞান করছে; সদাপ্রভুই তোমার ও আমার বিচার করুন!” |
388 | GEN 16:6 | তখন অব্রাম সারীকে বললেন, “দেখ, তোমার দাসী তোমারই হাতে; তোমার যা ভাল মনে হয়, তার প্রতি তাই কর।” তাতে সারী হাগারকে দুঃখ দিলেন, আর সে তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে গেল। |
390 | GEN 16:8 | তার কাছে তাকে পেয়ে বললেন, “হে সারীর দাসী হাগার, তুমি কোথা থেকে আসলে? এবং কোথায় যাবে?” তাতে সে বলল, “আমি নিজের কর্ত্রী” |
391 | GEN 16:9 | সারীর কাছ থেকে পালাচ্ছি। তখন সদাপ্রভুর দূত তাকে বললেন, “তুমি নিজের কর্ত্রীর কাছে ফিরে যাও এবং নিজেকে সমর্পণ করে তার অধীনে থাক।” |
392 | GEN 16:10 | সদাপ্রভুর দূত তাকে আরও বললেন, “আমি তোমার বংশের এমন বৃদ্ধি করব যে, গণনা করা যাবে না।” |
393 | GEN 16:11 | সদাপ্রভুর দূত তাকে আরও বললেন, “দেখ, তোমার গর্ভ হয়েছে, তুমি ছেলে জন্ম দেবে ও তার নাম ইশ্মায়েল [ঈশ্বর শুনেন] রাখবে, কারণ সদাপ্রভু তোমার দুঃখ শুনলেন।” |
395 | GEN 16:13 | পরে হাগার, যিনি তার সঙ্গে কথা বললেন, “সেই সদাপ্রভুর এই নাম রাখল, তুমি দর্শনকারী ঈশ্বর;” কারণ সে বলল, “যিনি আমাকে দেখেন, আমি কি এই জায়গাতেই তাঁর দর্শন করেছি?” |
399 | GEN 17:1 | অব্রামের নিরানব্বই বছর বয়সে সদাপ্রভু তাঁকে দর্শন দিলেন ও বললেন, “আমিই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তুমি আমার সামনে যাতায়াত করে সিদ্ধ হও। |
402 | GEN 17:4 | “দেখ, আমিই তোমার সঙ্গে নিজের নিয়ম স্থির করছি, তুমি বহু জাতির আদিপিতা হবে। |
407 | GEN 17:9 | ঈশ্বর অব্রাহামকে আরও বললেন, “তুমিও আমার নিয়ম পালন করবে; তুমি ও তোমার ভাবী বংশ পুরুষানুক্রমে তা পালন করবে। |
413 | GEN 17:15 | আর ঈশ্বর অব্রাহামকে বললেন, “তুমি তোমার স্ত্রী সারীকে আর সারী বলে ডেকো না; তার নাম সারা [রাণী] হল। |
415 | GEN 17:17 | তখন অব্রাহাম উপুড় হয়ে পড়ে হাঁসলেন, মনে মনে বললেন, “একশো বছর বয়ষ্ক পুরুষের কি সন্তান হবে? আর নব্বই বছর বয়ষ্কা সারা কি প্রসব করবে?” |
416 | GEN 17:18 | পরে অব্রাহাম ঈশ্বরকে বললেন, “ইশ্মায়েলই তোমার সামনে বেঁচে থাকুক।” |
417 | GEN 17:19 | তখন ঈশ্বর বললেন, “তোমার স্ত্রী সারা অবশ্য তোমার জন্য ছেলে প্রসব করবে এবং তুমি তার নাম ইসহাক [হাস্য] রাখবে, আর আমি তার সঙ্গে আমার নিয়ম স্থাপন করব, তা তার আগামী বংশধরদের পক্ষে চিরস্থায়ী নিয়ম হবে। |
428 | GEN 18:3 | তিনি বললেন, “হে প্রভু, অনুরোধ করি, যদি আমি আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহের পাত্র হয়ে থাকি, তবে আপনার এই দাসের কাছ থেকে যাবেন না। |
430 | GEN 18:5 | কিছু খাবার এনে দিই, তা দিয়ে প্রাণ তৃপ্ত করুন, পরে নিজের পথে এগিয়ে যাবেন; কারণ এরই জন্য নিজের দাসের কাছে এসেছেন।” তখন তাঁরা বললেন, “যা বললে, তাই কর।” |
431 | GEN 18:6 | তাতে অব্রাহাম তাড়াতাড়ি করে তাঁবুতে সারার কাছে গিয়ে বললেন, “শীঘ্র 21 কিলো উত্তম ময়দা নিয়ে মেখে গোলা বানিয়ে রুটি তৈরী কর।” |
434 | GEN 18:9 | আর তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার স্ত্রী সারা কোথায়?” তিনি বললেন, “দেখুন, তিনি তাঁবুতে আছেন।” |
435 | GEN 18:10 | তিনি বললেন, “বসন্তকালে আমি অবশ্যই তোমার কাছে ফিরে আসব; আর দেখ, তোমার স্ত্রী সারার এক ছেলে হবে।” এই কথা সারা দরজার পিছনে থেকে শুনলেন। |
437 | GEN 18:12 | অতএব সারা নিজে মনে মনে হেঁসে বললেন, “আমার এই শীর্ণ দশার পরে কি এমন আনন্দ হবে? আমার প্রভুও তো বৃদ্ধ।” |
438 | GEN 18:13 | তখন সদাপ্রভু অব্রাহামকে বললেন, “সারা কেন এই বলে হাঁসলো যে, ‘আমি কি সত্যই প্রসব করব, আমি যে বুড়ী?’ কোন কাজ কি সদাপ্রভুর অসাধ্য? |
440 | GEN 18:15 | তাতে সারা অস্বীকার করে বললেন, “আমি হাঁসিনি; কারণ তিনি ভয় পেয়েছিলেন।” তিনি বললেন, “না, অবশ্যই হেঁসেছিলে।” |
442 | GEN 18:17 | কিন্তু সদাপ্রভু বললেন, “আমি যা করব, তা কি অব্রাহাম থেকে লুকাব? |
445 | GEN 18:20 | পরে সদাপ্রভু বললেন, “কারণ সদোমের ও ঘমোরার কান্না অত্যন্ত বেশি এবং তাদের পাপ অতিশয় ভারী; |
448 | GEN 18:23 | পরে অব্রাহাম কাছে গিয়ে বললেন, “আপনি কি দুষ্টের সঙ্গে ধার্মিককেও ধ্বংস করবেন? |
451 | GEN 18:26 | সদাপ্রভু বললেন, “আমি যদি সদোমের মধ্যে পঞ্চাশ জন ধার্মিক দেখি, তবে তাদের অনুরোধে সেই সমস্ত জায়গার প্রতি দয়া করব।” |
452 | GEN 18:27 | অব্রাহাম উত্তর করে বললেন, “দেখুন, ধূলো ও ছাইমাত্র যে আমি, আমি প্রভুর সঙ্গে কথা বলতে সাহসী হয়েছি! |
453 | GEN 18:28 | কি জানি, পঞ্চাশ জন ধার্ম্মিকের পাঁচ জন কম হবে; সেই পাঁচ জনের অভাবের জন্য আপনি কি সমস্ত নগর ধ্বংস করবেন?” তিনি বললেন, “সেই জায়গায় পঁয়তাল্লিশ জন পেলে আমি তা বিনষ্ট করব না।” |
454 | GEN 18:29 | তিনি তাঁকে আবার বললেন, “সেই জায়গায় যদি চল্লিশ জন পাওয়া যায়?” তিনি বললেন, “সেই চল্লিশ জনের জন্য তা করব না।” |
455 | GEN 18:30 | আবার তিনি বললেন, “প্রভু বিরক্ত হবেন না, আমি আরও বলি; যদি সেখানে ত্রিশ জন পাওয়া যায়?” তিনি বললেন, “সেখানে ত্রিশ জন পেলে তা করব না।” |
456 | GEN 18:31 | তিনি বললেন, “দেখুন, প্রভুর কাছে আমি সাহসী হয়ে আবার বলি, যদি সেখানে কুড়ি জন পাওয়া যায়?” তিনি বললেন, “সেই কুড়ি জনের অনুরোধে তা বিনষ্ট করব না।” |
457 | GEN 18:32 | তিনি বললেন, “প্রভু রাগ করবেন না। আমি শুধু মাত্র আর একবার বলব; যদি সেখানে দশ জন পাওয়া যায়?” তিনি বললেন, “সেই দশ জনের অনুরোধে তা ধ্বংস করব না।” |
460 | GEN 19:2 | তিনি বললেন, “হে আমার প্রভুরা, দেখুন, অনুরোধ করি, আপনাদের এই দাসের বাড়িতে প্রবেশ করুন, রাতে থাকুন ও আপনার পা ধুয়ে নিন; পরে সকালে উঠে নিজের যাত্রায় এগিয়ে যাবেন।” এবং তাঁরা বললেন, “না, আমরা চকেই রাত কাটাব।” |
463 | GEN 19:5 | তারা লোটকে ডেকে বলল, “আজ রাত্রে যে দুজন লোক তোমার বাড়িতে আসল, তারা কোথায়? তাদেরকে বার করে আমাদের কাছে আন, আমরা তাদের পরিচয় নেব।” |